রাজধানীর বিভিন্ন মহাসড়কে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, সড়কে সবজি ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ৫১ জন চাঁদাবাজকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংস্থাটি জানায়, প্রতিটি ট্রাক থেকে ২শ থেকে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করতো তারা। ধাপে ধাপে চাঁদা দেয়া ও পণ্যের কারসাজিকে দাম বৃদ্ধির কারণ বলছে র্যাব। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধর করা হয় চালকদের।
এছাড়া লেজার লাইট, লাঠি হাতে নিয়ে এভাবেই ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নেয় চাঁদাবাজরা। কৌশলে পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে দাবি করে চাঁদা।
ট্রাক প্রতি ২শ থেকে ৩শ টাকা চালকদের থেকে আদায় করে তারা। এমন দৃশ্য ধরা পড়ে র্যাবের হাতে। অভিযানে মাঠে নামে র্যাবের কয়েকটি দল।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় ৫১ জন। যারা বিভিন্ন সংগঠন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিটি করপোশনের নামে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চাঁদা আদায়ের ভুয়া রশিদও দেয়।
র্যাব জানায়, পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ঢাকায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা চাঁদা আদায় করছে কয়েকটি চক্র। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, মারধর করা হয় চালকদের।
রাতে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে একটি গ্র“প চাঁদা উত্তোলন করে কথিত ইজারাদারদের কাছে জমা দেয়। তারা সিন্ডিকেটের মধ্যে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। চাঁদা উত্তোলনকারীরা প্রতিরাতে মজুরি হিসেবে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা পান বলেও জানায় র্যাব।
কারওয়ান বাজার, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, কাজলা, গাবতলী ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতি রাতেই চাঁদাবাজি হয়। এর সঙ্গে কে কে জড়িত সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে র্যাব।