বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতির শিকার ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমারের আরাকার আর্মি। মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট হতে ১৬ জন জেলে একটি ট্রলারে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনটি ট্রলারে করে ডাকাতদল আক্রমণ করে। জেলেদের মারধর করে ট্রলারটির ডেকের ভিতরে বন্দি করে রাখে। পরে গত ৭ অক্টোবর ভোরে ডাকাতরা জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশের একটি চরে ছেড়ে দেয়।

“পরবর্তীতে জেলেরা দেশটির স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। জেলেরা প্রায় ছয় দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর রোববার বিজিবিকে অবহিত করে।”

বিজিবি অধিনায়ক বলেন, “এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি প্রতিনিধিদল আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে। সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফের নাফ নদীর শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে ১৬ জেলে বাংলাদেশে ফেরত এসেছে।”

মঙ্গলবার দুপুরে স্বজনদের কাছে জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

ফেরত আসা জেলেরা হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার থোয়াইঙ্গাকাটা গ্রামের মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মো. ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আব্দুল হাফেজ (২৮), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫), মৃত অলি আহমদের ছেলে আবু হেনা (৪০), মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে আলী (৪০), মোস্তাকের ছেলে আরাফাত (৩০), তোফাজ্জলের ছেলে মো. হেলাল (২৮), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৫০), মো. ওয়ারেজের ছেলে নবী হোসেন (২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে মো. সলিমুল্লাহ (৪৫), মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস (৫২), মোহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (২২), আলী আকবরের ছেলে মো. সেলিম (২৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৭), মৃত মুরুরুল হোসেনের ছেলে রহিম উল্লাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)।