গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেছেন । এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৫৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮২৬ জন ডেঙ্গুরোগী।
আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। অন্যজন খুলনা বিভাগের। এ নিয়ে চলতি মাসের এ পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৬২, ঢাকা বিভাগে ৫৮, ঢাকা উত্তরে ১১৪, ঢাকা দক্ষিণে ৬৭, খুলনায় ৬৫, ময়মনসিংহে ২২, রাজশাহীতে ৪৭, রংপুরে ২ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩ হাজার ৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৬৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৮০ হাজার ৫১৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মারা যান ৩ জন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন, মারা যান ৫ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন, মারা যান ২ জন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন, মারা যান ৮ জন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন, মারা যান ১২ জন।
আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন, মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন, মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন, মারা যান ১৩৪ জন।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। এ বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে তেমন একটা ডেঙ্গু প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।