সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৬ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ জনে।
আজ বুধবার (৩০ শে আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ৩৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮৯৯ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক হাজার ৪৬৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ১৩২ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮২৪ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৩০৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত পাঁচজন ঢাকা সিটিতে এবং দুইজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) মারা যান।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪২২ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ১৫৪ জন মারা যান।
চলতি বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫৭ হাজার ১৪৬ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৬৪ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট এক লাখ ১২ হাজার ৪৭৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫২ হাজার ৮১৬ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল ৫৯ হাজার ৬৬২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট আট হাজার ৮৪৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে তিন হাজার ৯০৮ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ৫৩৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৩ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার ৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।