গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ জনে।  একই সময় নতুন করে ২ হাজার ৩৩১জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।

আজ (সোমবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ৩৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৯১৮ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) এক হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৪১০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৯৪৪ জন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে এক হাজার ৪৬৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনের জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ছয়জন ঢাকা সিটিতে এবং দুইজন সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতিত) মারা যান।

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪১০ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ১৪৬ জন মারা যান।

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫৫ হাজার ৩২৭ জন ও সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৬১ হাজার ৫১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট এক লাখ আট হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫১ হাজার চারজন এবং সারা দেশের (ঢাকা সিটি ব্যতীত) বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৫৭ হাজার ৭০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

বর্তমানে সারা দেশে মোট আট হাজার ২১২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে তিন হাজার ৯১৩ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) চার হাজার ২৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯২ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার ৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।