সারাদেশে প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু এক হাজার ১৭ জন। আর সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মোট ২ হাজার ৫৯৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরও দুই হাজার ৫৯৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা সাতজন এবং ঢাকার বাইরের চারজন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৫৯৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬০৭ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৯৮৯ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৮৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৪ হাজার ৪৫৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৪২৬ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮০ হাজার ৬৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ১৭ হাজার ৯০১ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয় হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় তিন হাজার ১২০ জন এবং ঢাকার বাইরে ছয় হাজার ১৬৩ জন।

দেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।