শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ, ১ জানুয়ারি। সোমবার (১লা জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। মামলায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয়ের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।
আদালতে সেদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।
অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
এর আগে, চলতি বছর ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন তারা। এরপর থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। সেই থেকে দশম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১লা জানুয়ারি ধার্য করা হয়।
মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী শ্রম আইন লঙ্ঘনের এ মামলা বাতিলের আবেদন করেন। তা খারিজ করে দেন আদালত।
গত ৮ মে মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর গত ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা ও গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি করা হয়েছে হয়রানির উদ্দেশ্যে। আদালতের কাছ থেকে ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই আইনজীবী।