দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খুলতে চলেছে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। আজ (সোমবার) রাজধানীর বনানীতে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। এদিন বিকেল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের উপস্থিতিতে দূতাবাস উদ্বোধন করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিরো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। সকাল ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণরন করেন তিনি। এসময় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আর্জেন্টাইন দূতাবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনটি সমঝোতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্টিনার সম্পর্ক গভীর হয়। তখন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ ঢাকায় দূতাবাস খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে লক্ষ্যেই আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছেন।
তিনি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলবেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দুই দিনের সফর শেষে আগামী পহেলা মার্চ ঢাকা থেকে বিদায় নেবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও, ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা লাতিন আমেরিকার দেশটির নজর কাড়ে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর অভিনন্দন জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট।
চিঠিতে আলবার্তো ফার্নান্দেজ জানান, ২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।