২০২৩ সালে রাজধানী ঢাকায় দূতাবাস খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ। আজ (বৃহস্পতিবা) ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আলবার্তো ফার্নান্দেজ অভিমত প্রকাশ করেছেন, ২০২৩ সালেই ঢাকায় আর্জেন্টাইন দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা। তিনি একই সঙ্গে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও চিলিতেও কূটনৈতিক দূতের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ এর শিরোপা জয়ের পরপরই দুই দেশের সরকার প্রধানের শুভেচ্ছাবার্তা বিনিময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল। এটি দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য। আর্জেন্টাইন ফুটবলের বিশ্বজয়ে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণোচ্ছ্বল উদযাপনে আর্জেন্টিনার জনগণ ও রাষ্ট্রপতি অভিভূত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আলবার্তো বলেন, খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি অর্থবহ ও শক্তিশালী মাধ্যম।
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হলে দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হবে। সেইসঙ্গে মারকসুরের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ বেগবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঢাকাতে আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন তারা।
এরআগে ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।