নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশের মঞ্চে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সমাবেশ স্থল গোলাপবাগ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে ইতোমধ্যেই। মাঠে জায়গা না হওয়ায় অনেক নেতা–কর্মীই রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। নেতা–কর্মীরা মাঠে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

আজ (শনিবার) বেলা ১১টায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগেভাগেই শুরু হয়েছে। এর আগে ভোর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোলাপবাগ মাঠ।

এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল হাসান শ্রাবণসহ আরও অনেকে মঞ্চে অবস্থান করছেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার রাতেই প্রায় ভরে উঠেছিল গোলাপবাগ মাঠ। শনিবার সকাল হতেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের। এরই মধ্যে গোলাপবাগ মাঠ বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মাইকে বিভিন্ন রকম স্লোগান দেওয়া হচ্ছে এবং দলীয় ও দেশাত্মাবধক গান পরিবেশন করা হচ্ছে।

তবে সমাবেশে আসার পথে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিএনপি নেতা। তারা বলছেন, অকারণেই জিজ্ঞাসাবাদের নামে তল্লাশি করা হচ্ছে।

ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী, আবদুল্লাহপুর, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার বাস ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হচ্ছে। এদিকে, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান, হারুন অর রশিদ। যে কোন নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (শনিবার) ঢাকায় গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলটি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। তবে পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহের উত্তেজনার পর গতকাল বিকেলে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পায় দলটি।