আগামী তিন বছরের মধ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এজন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলেও জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (পহেলা ডিসেম্বর) ডিপিডিসির আওতাধীন বিভিন্ন সাব স্টেশন পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিপিডিসি’র এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার সঞ্চালন ব্যবস্থা আরও আধুনিক হবে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। সে সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দর বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। আগে পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দর ছিলো ৫ টাকা ১৭ পয়সা, এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। এ দফায় প্রতি ইউনিটে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ১ টাকা ৩ পয়সা।
নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এরইমধ্যে ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী বছরেও যেন লোডশেডিং না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে। আশা করছি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার যে প্রভাব সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এর মধ্যেও আমরা জনভোগান্তি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।