আগামীকাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজার ও আশুলিয়া চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (২৭শে অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এ সময় ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, হাইয়েস মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।
আমিনবাজার চেকপোস্টে দায়িত্বরত সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, “আগামীকাল রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ রয়েছে, কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোনো নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই এই চেকপোস্ট কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, আগামীকাল শনিবার ঢাকায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ করবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশসহ ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দল। অন্যদিকে পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। আওয়ামী লীগ মাঠের শক্তি জানান দিতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের শহরে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি জোরালো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা “শান্তিপূর্ণ” কর্মসূচি পালন করছে। এর আগে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এমনকি নাগরিকের একান্ত ব্যক্তিগত মোবাইল-ফোন তল্লাশিও করা হয়েছিল।
পুলিশ এ সময় যাত্রীদের কাছে তাদের গন্তব্য, কোথা থেকে আসছেন, পেশা কী; এসব প্রশ্ন করতে দেখা গেছে। কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিতে তাদের পরিচয়পত্র চেক করতে দেখা গেছে।
সকালে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও বেলা ১০টার দিকে যানবাহনের চাপ বাড়ায় চেকপোস্টে যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও মালামাল তল্লাশি করায় যানবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা যায়।
জানতে চাইলে চেকপোস্টে উপস্থিত ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগামীকাল রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ রয়েছে, তাই কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। চেকপোস্টে এখন পর্যন্ত কাউকেই আটক করা হয়নি।’