রাজধানীর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানেও। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর বাইরেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। সিলেটেও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটের সময় এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট থেকে ১৩১ কিলোমিটার দূরে ভূটানের কাছাকাছি অঞ্চলে আসামের উদালগুড়ি এলাকা থেকে ১৫ কিলোমিটার পূবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপস্থল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটি গৌহাটির ৮৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পূর্বে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্পে প্রায় ১৫০ বার কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ। ছোট ভূমিকম্পগুলো বড় ভূমিকম্পের আলামত। আবার বড় ভূমিকম্পের শত বছরের মধ্যে আরেকটি বড় ভূমিকম্প হয়।
ইন্ডিয়া এবং বার্মা প্লেট এবং বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। রাজধানী ঢাকার আশপাশে বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে ঢাকা মহানগরীর।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকায় যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও আঘাত হানে, আমরাদের যে প্রস্তুতি, ভবনের স্ট্রাকচার, ঘনবসতি তাতে অনেক বড় বিপর্যয় হতে পারে।