ঢাকায় কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস চালু করলো যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৭শে অক্টোবর) ঢাকায় ইউএস ট্রেড শো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন অফিস চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব কমার্স ফর গ্লোবাল মার্কেটস ও ইউএস অ্যান্ড ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিসের মহাপরিচালক অরুন ভেঙ্কটা রামন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউএস ট্রেড শো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ভেঙ্কটা রামন বলেন, এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তিকে প্রসারিত করার একটি উপযুক্ত মুহূর্ত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের গতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে ব্যবসা করতে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই নতুন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । আমাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ১০০০ কোটি ডলারের, যা এই দেশে বর্তমান ও সম্ভাব্য অপার সুযোগের নিদর্শন।

বিজ্ঞপ্তিতিতে আরো বলা হয়, আজ থেকেই ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্স ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে একজন ঊর্ধ্বতন ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিসার নিযুক্ত করছে। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানির সুযোগ বাড়ানো যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কোম্পানি বাংলাদেশের বাজারে আসার বা উপস্থিতি আরও বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে তাদের সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করা যায়। অফিসটি প্রত্যেককে আলাদাভাবে ব্যবসায়িক পরামর্শ প্রদানের কাজকে সহজতর করবে, বাংলাদেশের বাজার-উপযোগী রফতানি দক্ষতা ও তথ্য সরবরাহ করবে। ব্যবসায়িক ম্যাচমেকিং ও অন্যান্য সেবার মাধ্যমে সম্ভাব্য বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সংযোগ ঘটাতে কাজ করবে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অন্যতম ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রফতানি উন্নয়ন শাখা হলো ইউএস অ্যান্ড ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস। গোটা বিশ্বে ১২২টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টির বেশি শহরে অফিসসহ কমার্শিয়াল সার্ভিসের একটি বিস্তৃত বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নতুন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস চালু হওয়াতে মোট আন্তর্জাতিক বাজারের সংখ্যা ৮১ হলো। এতে এশিয়া জুড়ে, বাংলাদেশ সহ ১৯ টি বাজারে কমার্শিয়াল সার্ভিসের উপস্থিতি থাকবে।