ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে সাভারের আশুলিয়া বাজার সংলগ্ন কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন তিনি।
এই প্রকল্প নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। ২৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল এবং ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং রাজধানী থেকে বাইরে দ্রুত প্রবেশ ও প্রস্থান নিশ্চিত হবে। এটি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী পর্যন্ত সংযুক্ত হবে।
ডিপিপি অনুযায়ী ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চলের সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর এবং ইপিজেড সংলগ্ন শিল্পাঞ্চলের যানজটও লাঘব হবে।
উত্তরবঙ্গসহ ৩০ জেলার ৪ কোটিরও বেশি মানুষ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবে। তা ছাড়া জনগণ ও পণ্য পরিবহনকে সহজ ও দ্রুত করে তুলবে এবং যানজট কমাতে সহায়তা করবে। এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নথিতে ০ দশমিক ২১৭ শতাংশ দেশের মোট জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের বেশিরভাগ অর্থায়ন দেবে চীন।
ডিএইইপি-এর প্রকল্প পরিচালক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ২০২৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, ঢাকা শহরকে ৩০টি জেলার সাথে সংযুক্তকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা করিডোরে যানজট অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
বিবিএ ও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও চীন ইতোমধ্যে ১১২৬.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার ক্রেডিট (পিবিসি) হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে তহবিল দেবে।
ডিএইইপি-এর মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,৯০১ কোটি টাকা। যেখানে চায়না এক্সিম ব্যাংক ১০,৯৫০ কোটি টাকা ও সরকার ৫,৯৫১ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে দেবে।