ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে দ্বিতীয় ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করেছে। আজ (বুধবার) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে নতুন এই ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করে।
তখনো আলো ফোটেনি পূব আকাশে। পৌষের ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন প্রকৃতি। এই কুয়াশা ভেদ করেকমলাপুর স্টেশন থেকে হুইশেল বাজিয়ে চলতে শুরু করলো পর্যটক এক্সপ্রেস।গন্তব্য পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
রোববার বাদে সপ্তাহে ছয়দিন ভোর সোয়া ছয়টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে কমলাপুর ছাড়বে পর্যটক এক্সপ্রেস। আর ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছাড়বে রাত ৮টায়। অত্যাধুনিক ১৬টি কোচে ৭৮০জন যাত্রী নিয়ে বুধবার সকালে ঢাকা ছাড়ে ট্রেনটি। সেবার মান ভালো রাখার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বললেন যাত্রীরা।
পর্যটক এক্সপ্রেসে যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,যাত্রীদের সুবিধার্থে এ পথে বাড়ানো হবে ট্রেন। পাশাপাশি নাশকতা এড়াতে নেয়া হচ্ছে বাড়তি নজরদারি।
ট্রেনটি বিমান বন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে বিকাল ৩টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে। অন্যদিকে, কক্সবাজার থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪টায়।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছাতে পর্যটক এক্সপ্রেসের সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। আর ফের ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
এর আগে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছিল, সম্প্রতি কোরিয়া থেকে আমদানি করা ১৬ টি কোচ দিয়ে ট্রেনটি চালানো হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ নভেম্বর নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিরতিহীন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চলাচলের মধ্যে দিয়ে রুটটিতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করে রেলওয়ে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এ রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চেয়ারের (স্নিগ্ধা) ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা।