বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার একতরফা নির্বাচনের ছক আঁকছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসছে এবং তার অধীনে নির্বাচন না হচ্ছে, কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ারী দেন তিনি।

আজ (রোববার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে  পিলখানা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নয় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকার জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চক্রান্তে বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বাংলাদেশকে দুর্বল জাতিতে পরিণত করতে। ২৫শে ফেব্রুয়ারি এলে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন উঠে যায় বলে মন্তব্য করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি আজ অস্তিত্বের সংকটে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এমন সংকট তৈরি হয়। আওয়ামী লীগ দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। একদলীয় শাসন কায়েম করে ভয় ও ত্রাসের রাজত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

জেলা পর্যায়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বাঁধা দেয়া হয়েছে উলে­খ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি কর্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই দেশ রক্ষায় বিএনপি রাস্তায় নেমেছে।

বিএনপির আন্দোলন দমাতে গুলি করে ১৭জনকে হত্যা করা হয়েছে  অভিযোগ করে তিনি বলেন এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজপথেই ফয়সালা করতে হবে। প্রতি বছর শোক পালন না করে বেরিয়ে আসতে হবে। তরুণ, ছাত্র, যুবকদের আবারও দেশের স্বাধীনতা ও  সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই বিডিআর হত্যাকান্ড  হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হলেও আসল তথ্য উন্মোচন করা হয়নি। আমাদের দাবি সেই রিপোর্ট জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার  ভয়ে ভীত হয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের ছক আঁকছে। লুটপাট দুর্নীতি অপশাসনের বিচারের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে সরকার। পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং গণতন্ত্র ধ্বংসের