বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বর মাসের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। দেশে ফেরার পর তিনি ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন, যা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জরুরি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নতুন ভোটার তালিকা করা হবে না। তাই ভোটার হতে হলে তারেককে তফসিল ঘোষণার আগেই দেশে ফিরতে হবে।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়। ওই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ছিলেন লন্ডনে। ফলে ভোটার হতে পারেননি তারা। জুবাইদা কয়েক মাস আগে ভোটার হলেও দেশে না ফেরায় এখনো ভোটার নন তারেক। লন্ডনেও তিনি ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের নিবন্ধন ও প্রবাসী শাখা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গেলে তারেক রহমানকে অবশ্যই ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র করা লাগবে। সে অনুযায়ী তিনি ভোটার হবেন। তফসিল ঘোষণার আগে যদি তিনি দেশে ফিরে ভোটার না হন তাহলে আইনি জটিলতায় পড়বেন। তফসিল হলে সব ধরনের মাইগ্রেশন ও ভোটার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এছাড়া কোর্ট থেকে ডিক্লারেশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ কমিশনার একমত হলেই তফসিলের পরে কাউকে ভোটার করা যায়। তবে সে প্রক্রিয়া অনেক জটিল। সহজ ও সাধারণভাবে তারেক রহমান ভোটার হতে চাইলে অবশ্যই তফসিল ঘোষণার আগে দেশে ফিরতে হবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের নিবন্ধন ও প্রবাসী শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে এসে ভোটার হতে চাইলে তফসিলের আগেই ফিরতে হবে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টারে ভোটার কার্যক্রম চালু আছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি লন্ডনে ভোটার হবেন না। বাংলাদেশে এসেই ভোটার হবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
তফসিলের পরে ভোটার হওয়া যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তফসিলের পরে ভোটার হওয়া খুব কঠিন। কোর্ট থেকে ডিক্লারেশন লাগবে। এছাড়া ফুল কমিশন বৈঠক করে সবাই একমত হলেই কেবল ভোটার হওয়া যায়। পাঁচ কমিশনের মধ্যে একজন যদি দ্বিমত পোষণ করেন তবে তিনি আর ভোটার হতে পারবেন না।’












