মিরপুরে আগের দুই ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি তামিম ইকবাল। তবে ভেন্যু পরিবর্তনের মাধ্যমেই যেন গর্জে তার ব্যাট। সিলেটে গিয়ে স্বরূপে ফিরেছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক। তাতে দলও পেয়েছে দারুণ এক জয়। দুর্বার রাজশাহীকে ফের হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে তামিমের দল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশালের জয় ৭ উইকেটের। রাজশাহীর ৪ উইকেটে ১৬৮ রানের জবাবে তামিমের দল জিতেছে ১৫ বল হাতে রেখেই।
বরিশালের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীর। তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদকে ছক্কা মেরে আগ্রাসন দেখান তামিম। ওপেনার প্রিতম কুমার অল্পে ফিরলেও চাপ বাড়তে দেননি কাইল মায়ার্স। ১১ বলে ২৪ রানে আউট হওয়ার আগে দলের জন্য কাজের কাজটা করে দেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
মোহর শেখের দুই বলে মারেন চার ও ছক্কা। রাজশাহীর চাপ বাড়িয়ে শফিউল ইসলামের এক ওভারে চারটি বাউন্ডারি মেরে পাওয়ার প্লেতে বরিশালের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেন তামিম। তিনি একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখলেও তাল মেলাতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ১৪ বলে করতে পারেন মোটে ১৯।
মাত্র ৩০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন বরিশাল অধিনায়ক। সেখান থেকে দলকে জেতানোর পথে মূল কাজটা এগিয়ে নেন তামিমই। মুশফিকুর রহিম একপ্রান্ত আগলে জুটি গড়ে দেন যোগ্য সঙ্গ। শেষের দিকে তিনি খেলেন বড় শট। আর সেঞ্চুরির আশা জাগালেও দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি তামিমের।
তবে লং-অনের ওপর দিয়ে হাসান মুরাদকে ছক্কা মেরে ম্যাচের শেষ শটটি আসে তার ব্যাট থেকেই। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৪৮ বলে ৮৬ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন তামিম। ২৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর।
তামিমের তোপের সামনে রাজশাহীর বোলাররা প্রতিরোধ না গড়তে পারলেও কিছুটা দায় ব্যাটারদের দিতেই পারেন তাসকিন-শফিউলরা। দুর্দান্ত একটা শুরুর পর যে আশা ছিল ১৮০ প্লাস স্কোরের।
ওপেনার জিসান আলম জ্বলে ওঠেন আসরে প্রথমবারের মত। সাথে মোহাম্মদ হারিসও রান তুলেন ভালো গতিতে। প্রথম দশ ওভারে ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান করে নিয়ে ভালো ভিত ছিল রাজশাহীর। তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বিজয়ের ইনিংস গতি কমিয়ে দেয় রানের। অন্যপ্রান্তে ইয়াসির আলির প্রায় ১৬১ স্ট্রাইক রেটে করা ৩৭ রানের ইনিংসও তাই পারেননি চাপ সরাতে।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে মাত্র ৩৯ রান আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। আকবর আলির ১৫ রানের ক্যামিও টেনেটুনে পার করে ১৬০ রান। তবে দিন শেষে রানটা বড্ড কম বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।