বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মী ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সাপ্তাহিক গণবাংলা আয়োজিত ‘দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। তিনি বলছেন ‘কারফিউ ভঙ্গ করো, না হলে পদ ছাড়ো।’ বিএনপির আরেক নেতা বলেছেন, ‘তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো।’ এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল দেশের ক্ষতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হয়েছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিটিভিতে কখনও হামলা, ভাঙচুর হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিটিভির কিছু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। কিন্তু কখনও বিটিভিতে হামলা হয়নি।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্যোগের সময়ে মানুষ যে মন্ত্রণালয়ে ছুটে যায়, সেই ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা। ঢাকাবাসীর গর্ব, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেল জ্বালিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখেছি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছিল, তার থেকে বেশিই পেয়েছে। কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরতো, তাহলে বিএনপি-জামায়াত এই সুযোগটা পেত না।’
তিনি আরও বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা আন্দোলনকারীদের রক্ষা করেছে। লক্ষ্য করে দেখুন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ মারা যায়নি, সব বাইরে হয়েছে। অর্থাৎ, এর সঙ্গে কোটা সংস্কারের দাবির কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছেন কেউ হয়রানির শিকার হবে না।’
শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের ব্যবহার করে কেউ যেন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে, তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।