একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চর রেকর্ড ভেঙে প্রোটিয়া শেষ পর্যন্ত করে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান। শ্রীলঙ্কাকে দিয়েছে ৪২৯ রানের টার্গেট।
কুইন্টন ডি কক আর রেসি ফন ডার ডুসেনের পর মার্করাম—তিন সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়েছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপে এর আগে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার, ২০১৫ সালে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হয়েছিল সেই রেকর্ড। এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির ঘটনাও এটিই প্রথম।
বড় স্কোরের দিনে বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন এইডেন মার্করাম। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৪৯ বলে পৌঁছে গিয়েছেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল অধিনায়ককে হারানোর ধাক্কা দিয়ে। দুই চারে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া টেম্বা বাভুমা দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ডুসেনকে নিয়ে ডি ককের দ্বিতীয় উইকেট জুটির শুরুটা ছিল সতর্কতার সঙ্গে। তবে একবার থিতু হতেই হাত খুলতে শুরু করেন দুজনে। প্রথম দশ ওভারে ৪৮ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভার শেষে পৌঁছে যায় ১১৮ রানে, ত্রিশ ওভার শেষে ২০৬-এ।
ডুসেন ব্যক্তিগত তিন অঙ্কে পৌঁছান ১০৩ বলে। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানও অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। তাঁর ১৩ চার ২ ছয়ে গড়া ইনিংসটি থামে দুনিত ভেল্লালাগের বলে সামারাবিক্রমার ক্যাচ হয়ে, ১১০ বলে ১০৮ রানে।
ডি ককের পর ডুসেনও যখন ফেরেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩৭.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬৪। এখান থেকেই প্রোটিয়াদের ইনিংস চার শর দিকে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। ৩৪ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর লঙ্কান বোলারদের জন্য ত্রাসে পরিণত হন মার্করাম। পাতিরানা, মাদুশঙ্কার বলে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে পরের ১৪ বলেই তুলে নেন পরের পঞ্চাশ। ইনিংসের ৪৬তম ওভারের পঞ্চম বলে মাদুশঙ্কাকে ছয় মেরে ৪৯ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরি। এত দিন দ্রুততম ছিল ২০১১ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েনের ৫০ বলে সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে মাদুশঙ্কার দুই উইকেটই সেরা বোলিং, যদিও ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮৬ রান। অবশ্য প্রোটিয়াদের এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের দিনে এমন রান খরচ করতে হয়েছে সব বোলারকেই।