নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেছে মুছাপুর ক্লোজার স্লুইস গেট। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভারতের উজানের ফলে ফেনী মুহুরী নদীর পানি ও ভারী বর্ষণে কোম্পানীগঞ্জের পানি মুছাপুর স্লুইস গেটের রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। সোমবার সকালে পানির তীব্র চাপে ভেঙে যায় রেগুলেটর। এতে ব্রিজের উপর থাকা একটি সিএনজি অটোরিক্সাসহ ব্রিজটি তলিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্যার পানির তীব্র চাপ সহ্য করতে না পেরে রেগুলেটরটি ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় সবাই অসহায় হয়ে পড়েছে। জোয়ার হলে এখন পুরো কোম্পানীগঞ্জ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী জানান, রেগুলেটরের আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হচ্ছে। এর আগে কোম্পানীগঞ্জ ৬৭ আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার আশ্রিত থাকলেও এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, রেগুলেটর ধসে গেলেও বন্যার পানি নিষ্কাশনে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না। তবে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জোয়ার আসলে আগে এ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারতো না এখন তা লোকালয়ে প্রবেশ করবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জের উপকূলে অব্যাহত নদীভাঙন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ‘নতুন ডাকাতিয়া ও পুরাতন ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদীর পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের’ আওতায় কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩ ভেন্টের এ রেগুলেটর নির্মাণ শুরু হয়।
২০০৫ সালের ৮ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেছিলেন। রেগুলেটরের নির্মাণ কাজ শেষে ২৩টি ভেন্টে ২৩টি রেডিয়্যাল গেইট ও ফ্ল্যাব গেইট স্থাপন করা হয়।