শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই সপ্তাহ পর বেশিরভাগ এলাকায় তল¬াশি ও উদ্ধার অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৬ হাজার। এখনও কত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন তা জানা যায়নি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের আশায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা। তাদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) গতকাল জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রায় দুই সপ্তাহ পর তুরস্কের বেশির ভাগ প্রদেশে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের পর থেকে ঠিক কতসংখ্যক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি তুরস্ক। যদিও হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনের মরদেহের অপেক্ষায়।
এএফএডির প্রধান ইউনিস সেজার জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের খোঁজ ও উদ্ধারের কাজ বেশির ভাগ প্রদেশে সমাপ্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে কয়েক লাখ অ্যাপার্টমেন্ট গুঁড়িয়ে গেছে। ভবন ধসের জন্য দায়ী করে ডেভেলপারসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ দিয়েছে তুরস্কের প্রশাসন।
ভূমিকম্পের ১২ দিন পরে কিরগিজস্তানের উদ্ধারকর্মীরা দক্ষিণ তুরস্কের আন্টাকিয়া একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সিরিয়ান পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকারী দলটি জানিয়েছে, শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মা ও বাবা বেঁচে গেছেন, কিন্তু শিশুটি পরে জলশূন্যতায় মারা যায়। রয়টার্সকে উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য আতেই ওসমানভ বলেন, ‘আমরা যখন খনন করছিলাম, তখন আমরা চিৎকার শুনতে পেয়েছিলাম। যখন তাদের জীবিত উদ্ধার করতে পারি, তখন আমরা আনন্দিত ছিলাম। এ সময় ১০টি অ্যাম্বুলেন্স আশপাশের একটি রাস্তায় অপেক্ষা করছিল। রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাখা ছিল, যাতে উদ্ধারকাজটি সম্ভব হয়।’
উদ্ধারকারী দলগুলো পুরো সপ্তাহ ধরে বেঁচে থাকাদের খোঁজ করছে। তবে গত কয়েকদিন আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা কমছে। ফলে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।