তুরস্কে ভূমিকম্পে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশির একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকে নুর আলম নামের ওই বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার সঙ্গী গোলাম সাইদ রিংকু নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নুর-আলম। তারা দুজন তুরস্কের আজাজ শহরে বসবাস করছিলেন।

নুর-আলম বলেন, নুর আলম সুস্থ আছেন। তাকে বর্তমানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রিংকুর কোনো খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। রিংকু আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্র। তার বাড়ি বগুড়া।

জানা গেছে, নিখোঁজ বাংলাদেশি রিংকুর বাড়ি বগুড়ায়।

কনসাল জেনারেল বলেন, ‘ওই অঞ্চলে অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি থাকেন। আমরা এখন পর্যন্ত আর কোনও হতাহতের খবর পাইনি। এছাড়া সাতজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত গাজিয়ানতেপ অঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, এখন ওই অঞ্চলে আবহাওয়া প্রায় শূন্য ডিগ্রির কাছে। বৈরি পরিস্থিতির কারণে উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। ওই অঞ্চলে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি বসবাস করেন। কিছু সংখ্যক সেখানে ব্যবসা করেন। আবার অনেকে এনজিওতে চাকরি করেন।

এদিকে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেটের হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে। নাম্বারটি হলো: +৯০৮০০২৬১০০২৬।

সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।

এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকালে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)। আর বিকেলে ৬ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি¡ক জরিপ ইউএসজিএস।