তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ৬ দিন। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগকবলিত এলাকায় বাড়ছে সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা। উদ্ধারকারীরা সতর্ক করেছেন, এমনটা চলতে থাকলে চাপাপড়াদের জীবিত উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনাই আর থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তুরস্কে মারা গেছে ২৫ হাজার। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে কেউ আইন ভঙ্গ করলে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করবেন তিনি।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোতে। ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক সহিংসতা। অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
অস্ট্রিয়া সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাতামা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ‘অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের’ কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তারা উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে।