স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছয় দিনের মাথায় এসেও ধ্বংসস্তুপে মিলছে মরদেহ। আল জাজিরার সর্বশেষ তথ্য বলছে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কে মারা গেছে সাড়ে ২৯ হাজার ৬০৫ জন ও সিরিয়া ৪ হাজার ৫০০ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসস্তুপে আটকেপড়া মানুষেরা অনেক সময় এক সপ্তাহ বা বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা দ্রুত কমছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের নিচে জীবনের স্পন্দন পেতে থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছেন। যা কেউ জীবিত থাকলে তাদের দুর্বল অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিরিয়া ও তুরস্কে এই দুটি দেশে আহত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের বেশি। হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী ভর্তির মতো জায়গাও নেই।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোতে। ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক সহিংসতা। অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। শুধু সিরিয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ৫৩ লাখ মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) বলছে, এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে, এমন আভাস দিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।