গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার ফজরের পরে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।

তিনদিনের এই জমায়েতে অংশ নিতে টঙ্গীর তুরাগ নদীরতীরে জড়ো হয়েছে দেশি-বিদেশি লাখো মুসল্লি। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকেই মূল ময়দানে জায়গা না পেয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশপথের দুইপাশে অবস্থান নিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।

পরবর্তি তিন দিন দেশ বিদেশের মাওলানারা বয়ান করবেন। সকাল পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া, তুরস্ক, আফগানিস্তান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অর্ধ শতাধিক দেশের দুই হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে উঠেছেন। ময়দানে বয়ান, কারগুজারি, তাশকিল, তালিম, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার ও ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন তাবলীগের দেশি-বিদেশি মুসল্লিগণ।

রোববার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ইজতেমা এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রথম পর্বের মতো এই পর্বে ও জোরালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা  রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ইজতেমায় আগত মোট ছয় জন মারা গেছেন। মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থতার কারণে তারা মারা যান। তাদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

তারা হলেন – জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে নবীর উদ্দিন (৬৫), শেরপুর সদরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার  কুতুবপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হেলিম মিয়া (৬৫) ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর গ্রামের ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন (৭০)।