থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সীমান্ত উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী একটি বেসামরিক এলাকা ও হাসপাতাল লক্ষ্য করে বিস্ফোরক রকেট হামলা চালিয়েছে কম্বোডিয়া। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক।

ন্যাশন থাইল্যান্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন সুরিন বেসামরিক এলাকা এবং হাসপাতালকে লক্ষ্য করে কম্বোডিয়ার সামরিক আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধাপরাধ’ উল্লেখ করে একে আন্তর্জাতিক আইন এবং জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন।

থাই কর্তৃপক্ষ সংঘাতে এখন পর্যন্ত এক সেনাসহ ১২ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১৪ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে। এই ঘটনার পর থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সীমান্তবর্তী এলাকার স্কুলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া কম্বোডিয়ার সাথে থাকা নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড।

অপরদিকে কম্বোডিয়া এখনও তাদের হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তবে তারা দাবি করেছে যে থাই যুদ্ধবিমান প্রাচীন প্রেহ বিহার মন্দিরের কাছে একটি রাস্তায় বোমা ফেলেছে।

বিবিসি বলছে, উভয় দেশই সীমান্তের কাছে তাদের নাগরিকদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। থাইল্যান্ড এরইমধ্যে ৪০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।