ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কেউ যেন আতশবাজি কিংবা ফানুস ওড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন এ ধরনের আনন্দ উল্লাসে মেতে না ওঠেন। কারণ অনেক সময় আতশবাজি কিংবা ফানুস মৃত্যুর কারণে হয়ে দাঁড়ায়।

জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী যেসব এলাকায় ফানুস বিক্রি হয় সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। স্থানীয় ফানুস বিক্রেতাদের গতবারের দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নির্দিষ্ট থানা এলাকায় যেন কোনভাবে ফানুস বিক্রি বা ওড়ানো না হয়। এজন্য প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক কাজ করবে।   ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), এসবি, এনএসআই ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে রাজধানীজুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোয়াত, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে।

হাতিরঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। কোনো গাড়ি রাফ চালানো যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটেও প্রবেশ করতে পারবেন তারা।

তিনি বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় রাত ৮টা থেকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। রাত ৮টার পর থেকে ওই এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই এলাকায় প্রবেশের জন্য আমতলি ক্রসিং-কাকলি ক্রসিং খোলা থাকবে। সেখানকার বসবাসরত নাগরিকদের ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রবেশের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে। হাতিরঝিল এলাকায় ডুবুরি মোতায়েন থাকবে। তবে সন্ধ্যার পরে হাতিরঝিলে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

উচ্চশব্দে হর্ন বাজানো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাতাল অবস্থায় কোনো চালক যাতে গাড়ি চালাতে না পারে সন্দেহজনকদের ব্রিথিং টেস্টের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যে কোনো প্রয়োজনে নগরবাসীকে প্রয়োজনে পুলিশকে ফোন করার অনুরোধ জানান তিনি।