বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য উদ্বেগজনক খবর কীর্তনখোলাসহ ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ১০ কিলোমিটার। এই অবস্থা আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভোলা-ইলিশা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া, অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলীয় নদীতীরবর্তী জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার, বাবুগঞ্জের নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এ ছাড়া বরিশালের বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর কাইতপাড়ার লোহালিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার, মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।