সার্বজনীন শিক্ষার মান বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেছেন, শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। আজ (বুধবার) ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ-মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ শেষে বক্তব্যকালে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পরীক্ষার ফলাফলের পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে। সামনে ভালো করার জন্য নতুন করে যেন উদ্যোগ নেয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন ফেল করবে?

তিনি বলেন, আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এর প্রধান হাতিয়ার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার উদ্যোগ দিয়েছি। অনেকগুলো কৃষি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিয়ম করেছিলাম, ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এবার আপনারা ৬০ দিনের আগেই দিয়েছেন। তাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, জাতির জনক সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছেন। আজকের ছেলে-মেয়েরাই তো সোনার মানুষ।

আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে গবেষণা হচ্ছে। কৃষির গবেষণায় খুব ফল পাচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন হয়। সব সেক্টরকে গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

মাদরাসা শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং নিতে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।