মাত্র এক মাস আগে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে টিকে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্তী বরিস জনসন। তবে তার পদত্যাগের জন্য দলীয় এমপিদের চাপ ছিল বরাবরই। এবার আর সে চাপ সামলাতে পারলেন না ক্ষ্যাপাটে স্বাভাবের জনসন। কেলেংকারির অভিযোগ মাথায় নিয়ে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতেই হলো তাকে। নতুন নেতা নির্বাচিত হলেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ও ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িও ছাড়বেন। তার পতনে খুশি হয়েছে রাশিয়া।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের চাপে অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে, দলের নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে এই ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তিনি বলেন, আমি বলতে চাই বিশ্বে সবচেয়ে ভালো সরকার পরিচালনা করছিলাম, কিন্তু মাঝে তার ছন্দপতন ঘটলো। ব্রিটিশ জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ২০১৯ সালে বিপুল সমর্থন দেয়ার জন্য।
এরআগে অবশ্য পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বরিস জনসন। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই দায়িত্ব পালন করে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে, নিজ দলের অর্ধশতাধিক মন্ত্রী ও এমপির পদত্যাগের পর চাপে পড়ে নিজে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।
২০১৯ সালে ইউরোপ থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যুক্তরাজ্যের মসনদে বসেন বরিস জনসন। তবে, গত দুই বছরে একের পর এক বির্তকে জড়িয়েছে ৫৫ বছর বয়সী ক্ষ্যাপাটে বরিস। করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে পার্টি করেও সমালোচিত হয়েছেন নিজ দলের সদস্যদের কাছে। পরে অবশ্য এ নিয়ে গত মাসে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে কোনরকমে পার পেয়েছিলেন।
সবশেষ কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, তিনি একজনের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী জনসন কেন পিঞ্চারকে ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ করেন এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন বরিস।
আগামী অক্টোবরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সম্মেলনে নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে।