দফায় দফায় বৈঠকেও চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মালিকপক্ষ আংশিক মজুরি বৃদ্ধি করতে চাইলেও শ্রমিকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এ অবস্থায় এখনো (বৃহস্পতিবারও) আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা। বাগানে বাগানে করছেন বিক্ষোভ, মিছিল ও কর্মবিরতি।

মজুরি না বাড়ানো পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে শ্রমিক নেতারা। গত ১৩ই আগস্ট থেকে বাগান থেকে চা পাতা তোলা ও অন্যান্য কাজ বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে কুড়ি ও পাতা।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে সারা দেশে চা-বাগানের শ্রমিকরা টানা ষষ্ঠদিন কর্মবিরতি পালন করছে। বন্ধ রয়েছে বাগান থেকে চা পাতা তোলা এবং কারখানার উৎপাদন কাজ। গাছে থাকা কচি পাতাগুলো হারাচ্ছে গুনগত মান। অন্যদিকে যেসব চা পাতা কারখানায় রাখা হয়েছিলো সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উত্তোলন করা পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় দিনে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের চা পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের চা বাগানগুলোতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিছিল বিক্ষোভ করে।

শ্রম অধিদপ্তরের আয়োজনে বাগান মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বুধবার ঢাকায় বৈঠক শেষ হয়েছে সমঝোতা ছাড়াই। বাগান মালিকরা দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা করার প্রস্তাব করলে শ্রমিক নেতারা তা নাকচ করেন বলে জানালেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা।

আগামী ২৩শে আগস্ট ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকার বাগান মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ৯ই আগস্ট থেকে ১২ই আগষ্ট পর্যন্ত চা বাগানগুলোতে দু-ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। এরপর ১৩ই আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।