বিদ্রোহীরা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ার পর প্লেনে করে শহর ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। অবশ্য তিনি কোথায় গেছেন তা জানা যায়নি।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল আসাদ দামেস্ক ছেড়ে চলে গেছেন। তবে কোথায় গেছেন তা জানা যায়নি। সম্ভবত ব্যক্তিগত বিমানে করে দামেস্ক বিমানবন্দর ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। বিমানটিতে সম্ভবত আসাদ রয়েছেন। বিমানটি ছাড়ার সময় সেখানে সরকারী সেনা উপস্থিত ছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হোমস শহর দখলের পর বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কে ঢুকে পড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দামেস্কে তাদের সদর দপ্তর থেকে সরে গেছেন বলে জানা গেছে।
বিদ্রোহীরা হোমস শহরকে সম্পূর্ণ মুক্ত করার পরে দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়। সে সময় ইসলামপন্থী এইচটিএস গ্র“পের নেতা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এইচটিএস নামে পরিচিত এই গোষ্ঠীর ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
রাজধানীতে ব্যাপক উল্লাসের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দামেস্কের উপকণ্ঠে বাশার আল-আসাদের পিতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিরিয়ায় ৫৪ বছরের অত্যাচারের অবসান হয়েছে।
এদিকে, রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা একদিনের যুদ্ধের পর রোববার সকালে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হোমস শহর দখল নিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। হোমস শহর দখলের পর উদযাপনও করেছে।
শহর থেকে আসাদ বাহিনীর সেনা প্রত্যাহারের পর হাজার হাজার বাসিন্দা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা ‘আসাদ পালিয়ে গেছেন, হোমস মুক্ত এবং সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক’ বলে স্লোগান দেন।
তবে এর আগে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় দাবি করেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দামেস্কেই অবস্থান করছেন।