সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় দেশের মানুষের জীবন সুরক্ষিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম চালু করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, বৃদ্ধ বয়সে আর কেউ অসহায় হবে না। কারো কাছে হাত পাততে হবে না। সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেবেন সেই চিন্তাই তিনি করেছেন। এজন্য বহু সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আজ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা, তৃণমূলের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি তা শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারী তাদের অবসরের পর শখ পূরণে পেনশন পায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যখন কর্মক্ষমতা হারায় তাদের আর কোনো সুযোগ থাকে না শখ পূরণের। যদিও আমরা এ জন্য কিছু ভাতার ব্যবস্থা করেছি, যাতে তাদের মূল্য থাকে। সার্বজনীন পেনশন যখন চালু হবে তাদের আর ভাতার উপর নির্ভর করতে হবে না, নিজের একটা আয় হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই স্কিম চালু হলে এদেশের মানুষ তাদের জীবন সুরক্ষিত করতে পারবে। বৃদ্ধ বয়সে আর কেউ অসহায় হবে না। কারো কাছে হাত পাততে হবে না। সম্মানের সাথে বাঁচার সুযোগ পাবে। বিশেষ করে সামাজিক কারণে যারা ভাতা নিতে পারেন না তাদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে।
এই স্কিম চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক চরাই উৎরাই পার হয়ে আসতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা বেশকিছু কাজ হাতে নিয়েছিলাম। তবে পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত এসে তা ধ্বংস করে দেয়। দেশের উন্নয়ন রুদ্ধ করে দেয় ওই সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় আমি জেলে ছিলাম। সে সময় জেলে বসে চিন্তা করতাম ক্ষমতায় গেলে কী কী করবো। সেগুলো সব নোট করে রাখতাম। আমরা যা অঙ্গীকার করি সেটা রাখি। আমাদের জন্য আত্মতুষ্টির বিষয় এটি, যে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলাম।
এর আগে, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। ইতোমধ্যে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট (www.upension.gov.bd) চালু করা হয়েছে।