ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার যথাযথ তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীদের বিচার সবাই তো সব সময় চাই। যারা দুষ্কৃতকারী তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। এটা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস বলে কথা নয়। এটা পঞ্চগড় বা নোয়াখালী এক্সপ্রেসে হলেও দুষ্কৃতকারীদের বিচারের কথা বলা হতো।

আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে ১১তলা বিশিষ্ট রেকর্ড ভবনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়, তাদের মনুষ্যত্ব নেই। প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনা দেশের যে প্রান্তেই হোক না কেন, সব একই রকম বিচার হবে।’

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সুপ্রিম কোর্টে কোনো রেকর্ড শাখা এতদিন ছিল না। এটি নির্মাণ করে দেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান প্রধান বিচারপতি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশুসন্তান ইয়াসিন (৩)।

পরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) খালেদ মোশাররফ বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও চারজনকে হত্যার পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় আসামি অজ্ঞাত।