পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণ ও দূতাবাসের কর্মীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং আমরা আশা করব যে, (বাংলাদেশ) সরকার দেশটিতে থাকা আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পাশাপাশি সব বিদেশি মিশন ও কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
পিটার হাসের এ উদ্বেগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন জানিয়ে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আমি বাংলাদেশ দূতাবাস বা সেখানকার কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না। আমি বলব যে, আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের কাছে অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়…কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেশন অনুযায়ী, সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা এবং কোনো কর্মীর ওপর হামলা প্রতিহতের বিষয়টি নিশ্চিতে সব কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে স্বাগতিক দেশগুলোকে।
এসময় ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি। আমরা ভিসানীতির কথা বলেছি তবে কারও নাম উল্লেখ করিনি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্ত করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনো বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসানীতি কার্যকর হবে। অন্য যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা এই নীতি প্রয়োগ করব।