দেশজুড়ে এখন নির্বাচনী উৎসবমুখরতা। এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৯ শে ডিসেম্বর) সকাল থেকে মিছিল, লিফলেট বিতরণ, আলোচনা ও মতবিনিময় সভাসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন তারা। তুলে ধরছেন নির্বাচনি এলাকা নিয়ে নিজেদের নানা পরিকল্পনাও। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা। তফসিল অনুযায়ী প্রচারনা চলবে ৫ই জানুয়ারী সকাল ৮টা পর্যন্ত। ৭ই জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

এর আগে গতকাল সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮৯৫ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রতীক পাওয়ার পর গতকাল শুরু হওয়া ভোটের প্রচার চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

শেষ পর্যন্ত ভোটে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ২৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৫৭ জন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন গত রবিবার ২৫টি আসন থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ। মূলত এসব আসনে ছাড় দিয়ে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সমঝোতায় বাঁধা হয়েছে। এর বাইরে জাপার অধীনে থাকা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শুরু থেকেই প্রার্থী রাখেনি আওয়ামী লীগ। জোটের শরিকদেরও দেওয়া হয়েছে ছয়টি আসন।

এই ছয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকলেও ব্যালটে থাকবে নৌকা প্রতীক। জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকেই ভোট করবেন। আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল করেছে কমিশন। ফলে ভোটে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ২৬৩ জন। কিন্তু শরিকসহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট করবেন মোট ২৬৯ জন প্রার্থী। তাঁদের সবাই গতকাল প্রতীক পেয়েছেন। অনেকে প্রচারেও নেমে গেছেন।

এদিকে জাপার ঘোষণা মতে, সারা দেশে ২৮৩টি আসনে লাঙল প্রতীকে ভোট করবে দলটি। শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ঢাকায় একটি আসনে ছাড় পেয়েছে দলটি। আর ঢাকা-৬ থেকে নিজের নাম কেটে নিয়েছেন জাপা প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ। ঢাকার বাকি সব আসনেই ভোট করছে জাপা।

প্রতীক বরাদ্দের দিন সারা দেশে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই পরিবারের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। যে আসনে স্বামী পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, একই আসনে স্ত্রী ভোট করবেন ইগল প্রতীকে। নৌকার সাবেক প্রার্থীরাও আছেন স্বতন্ত্রের তালিকায় লটারিতে পাওয়া প্রতীকে।