দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার (১০ এপ্রিল) রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে সারা দেশে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁদ দেখা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপনের বিষয়টি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো: ফরিদুল হক খান বলেন, দেশের সাতটি বিভাগীয় এবং ৬৪টি জেলা কার্যালয় থেকে চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকেও পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। কিন্তু কোথাও চাঁদ দেখার খবর মেলেনি।
বৈঠকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।
প্রতিবারের মতো এবারো পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। ইমামতি করবেন হাফেজ মুফতি মাওলানা মো; মিজানুর রহমান, মুকাব্বির থাকবেন ক্বারী মো: ইসহাক মুয়াজ্জিন। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মো: এহসানুল হক, মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ মো: আতাউর রহমান। তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম, মুকাব্বির থাকবেন মো: আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন ড. মো: আবু ছালেহ পাটোয়ারী, মুকাব্বির থাকবেন মো: জসিম উদ্দিন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন, মুকাব্বির থাকবেন মো: রুহুল আমিন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ৫টি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।