দেশের গণতন্ত্র একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা যেটা সবার সামনেই পরিষ্কার। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন বর্তমানে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, অতীতে যারা গণতন্ত্রকে বার বার আঘাত করেছে, তারাই এখন গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। যে আন্দোলনকে তারা ব্যর্থতার আগ পর্যায়ে অগ্নি-সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা সবার সামনে পরিষ্কার যে, আমাদের দেশের গণতন্ত্র একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, অতীতে যারা গণতন্ত্রকে বার বার আঘাত করেছে, তারাই এখন গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে। যে আন্দোলনকে তারা ব্যর্থতার আগ পর্যায়ে অগ্নি-সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় নিয়ে গেছে। নির্বাচনে সামনে রেখে সেই ২০১৩-১৪ ও ২০১৫ সালের মতো গণপরিবহন পোড়ানোর সেই অগ্নি-সন্ত্রাস তারা করছে।

তিনি বলেন, আসলে তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায় না। আজকে তারা আন্দোলন করছে। জন-সম্পৃক্ততার অভাবে ব্যর্থতার এই আন্দোলন তারা চোরাগুপ্তা হামলার দিকে নিয়ে গেছে। এখন তাদের আন্দোলন চোরাগুপ্তা হামলা। চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এটাই হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলের আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লড়াই আমাদের চলছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিরামহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিষয়ক আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সায়েম খান, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পর দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।