কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রে এখন ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে যা, দু-একদিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বিদ্যুৎ উৎপাদন উদ্বোধন করে বলেন, এ বছরের শেষের দিকে কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে।

তিনি বলেন, দেশের বিদ্যুতের চাহিদার জোগান দিতে সরকার বেসরকারি খাতে আরও নতুন করে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণে সুযোগ দিচ্ছে। কক্সবাজারের খুরুশকুলের এই প্রকল্প বছরের শেষের দিকে সম্পূর্ণ চালু করা সম্ভব হবে। এর আগেই পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে।

ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বাতাস থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২২টি টারবাইন স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি টারবাইন তিন মেগাওয়াট বিদ্যু উৎপাদন করবে। এরই মধ্যে ১০টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাকআপের জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবে দুটি টারবাইন বসানো হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটিতে ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। যার জন্য আরও ২০টি টারবাইনের প্রয়োজন হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাতাস থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২২টি টারবাইন স্থাপন করা হবে, যার প্রতিটি টারবাইন ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ইতোমধ্যে ১০টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে আরও দুটি টারবাইন বসানো হবে।

কক্সবাজারে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৫০ মেগাওয়াট। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে এলাকার বিদ্যুৎ সংকট কাটবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।