ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। ভোর থেকে রংপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলায় ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়তে হয় মানুষকে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তর। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলের পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে এ জেলায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়। যা এ জেলায় এই মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে ঘনকুয়াশা না থাকলেও উত্তরের হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা।

এদিকে, ঠান্ডার কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন সীমান্ত জেলার অনেক মানুষ। এ কারণে নিম্নবিত্তরা শহরের ফুটপাতের দোকান থেকে নিজেদের সাধ্যমতো কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ বছর সেভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।