আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি ও লুটেরার দল বিএনপির সাথে আন্তর্জাতিক কোনো শক্তি নেই। তারা হত্যা ষড়যন্ত্র ও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গিয়েছে। দেশের স্থিতশীলতা, অগ্রযাত্রা এবং গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে ক্ষমতায় যেতে চায়। শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগের দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসার কোনো লোভ নেই।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বিএনপি জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে এবং উন্নয়ন আগ্রযাত্রার জন্য জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবন গণভবনে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে ১৫ই আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন পালন করা হয়।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, তাদের শাসনামলে মানুষ হত্যা, লুটপাট ও আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, এখন কেন চায়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি এদের সাথে নেই বলেও জানান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চায়নি, এখন কেন আন্দোলন করছে? দলটি কি পাগল আর শিশু পেয়েছে কি না? সে প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি তখন সুযোগ থাকার পরও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করেনি। এখন তারা কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছে? ভোট চুরি করলে দেশের মানুষ মেনে নেয় না, খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ।
জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে? বিএনপি কেন এক দফার কথা বলছে। যারা স্বজনহারা তাদের জবাব কি খালেদা জিয়া দিতে পারবে? বিএনপি দেশের মানুষকে কী দিতে পেরেছে?
বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার যুগে ফেরাতে চায় বিএনপি এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। যারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের মুখে এখন নীতির কথা শুনতে হয়।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হামলার আলামত পর্যন্ত রাখতে দেয়নি তারা। এখনও বিএনপির নেতারা আমাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কেন এমন করা হচ্ছে, এর জবাব বিএনপির কাছে চাইতে হবে।