সারাদেশে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। ২৬টি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আজ (শনিবার) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এমন শৈত্যপ্রবাহ কয়েকদিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শীতের কারণে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এসব অঞ্চলের কৃষক।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গেলো কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত কমছে, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরাঞ্চলজুড়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। একই পরিস্থিতি মধ্যাঞ্চলেও। শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কাবু জনজীবন। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির ফোটার মত গুঁড়ি গুঁড়ি কুয়াশা পড়ছে। হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু রাজশাহীর জনজীবন। এখানকার হাসপাতালগুলোয় বেড়ে গেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
লালমনিরহাটে বইছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলাসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল নষ্ট হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডায় জয়পুরহাটে বিপর্যস্ত জনজীবন। মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে।
দিনাজপুরেও বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বেশি ঠাণ্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গাইবান্ধায় ঘন কুয়াশায় দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের কারণে বেশি বিপাকে চরাঞ্চলের মানুষ।
মৌলভীবাজারে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। জেলার শ্রীমঙ্গলে শুক্রবার এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, যশোর, চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।