দেশে এক মাসের তেল মজুত, আরও আসছে ৬ মাসের

দেশে তেলের সংকট নেই। যা মজুদ আছে তাতে আগামী এক মাস চলা যাবে। এছাড়াও আরও ছয় মাসের তেল অর্ডার (আমদানির আদেশ) করা আছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। আজ বুধবার (২৭শে জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুদের বিষয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুদ আছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল দেশে মজুদ রয়েছে। আর অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। আগামী ৩০শে জুলাই দেশে পৌঁছাবে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।

আজাদ বলেন, দেশে ৪৪ দিনের জেট ফুয়েল এবং ৩২ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুদ আছে। ফলে গ্রাহকদের তেল কম কেনার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হলেও তেলের সরবরাহ ঠিক রাখার পরিকল্পনা নেওয়া আছে বলেও দাবি করেন বিপিসি চেয়ারম্যান।

সম্প্রতি জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেওয়া যাবে- তেলের পাম্পে টানিয়ে রাখা এমন একটা বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে চারিদিকে। এরই প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন বিপিসি চেয়ারম্যান।