একটি অপশক্তি এখনো দেশের সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সম্প্রীতি রক্ষায় ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। শনিবার (১৪ই মে) সকালে রাজধানীর শাহবাগে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবানও জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন-অগ্রগতিরই প্রতীক নন, একইসাথে তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও মূর্ত প্রতীক। তিনি কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেছেন, সংস্কৃতিকে ধর্মের সাথে মেলানো উচিত নয়। ’

তথ্যমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, সৌদি আরবে মুসলিমরা উলুধ্বনি দেয়, সেটি তাদের সংস্কৃতির অংশ। অথচ এ দেশে কোনো মুসলিম উলুধ্বনি দিলে একটি পক্ষ বলবে এরা সবাই হিন্দু হয়ে গেছে।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক করার অপচেষ্টা করা হয়। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আবার সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ফিরিয়ে এনেছেন।

প্রতিটি ধর্মের উৎসব আজ দেশে সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ঈদ, দুর্গাপূজা, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ ধর্মীয় উৎসবগুলো এদেশে সার্বজনীন আনন্দের। যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তাদের দমনে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং যারা তাদের নিয়ে রাজনীতি করে, তারা বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রামু, কুমিল্লা, নাসিরাবাদসহ বিভিন্ন জায়গার ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারাই এগুলো ঘটিয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা এর পেছনে ছিল। এদেরকে দমন করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ’

সমাবেশ শেষে তথ্যমন্ত্রী আমন্ত্রিতদের সাথে নিয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সকল ধর্মের মানুষের শান্তি শোভাযাত্রা উদ্বোধনের পর সুসজ্জিত শোভাযাত্রাটি শাহবাগ সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।