রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান দেশে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান এসে পৌঁছায়।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর।

ড. মো. শৌকত আকবর জানান, পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচটি চালান দেশে আসবে। প্রথম সাতটি চালানোর পর ধাপে ধাপে আসতে থাকবে পারমাণবিক জ্বালানি। প্রতিটি চালানে ১২টি বান্ডেল থাকবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছায় গত ২৮শে সেপ্টেম্বর। এরপর ২৯শে সেপ্টেম্বর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাবনার রূপপুরে নেয়া হয়। রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানি উৎপাদিত হয়।

ইউরেনিয়াম আসার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবে উত্তরাঞ্চল। জানা গেছে, রূপপুর কেন্দ্রে ১২শ’ মোগাওয়াটের দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটেরও কাজের ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবে উত্তরাঞ্চল। সার্বিকভাবে দেশের প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্রটি মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করছে সরকার।

রূপপুর কেন্দ্রে ১২শ’ মোগাওয়াটের দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটেরও কাজের ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।

রূপপুরে অবস্থানরত সাংবাদিকদের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট জ্বালানি স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হলে ইউরেনিয়াম ফুয়েল স্থাপন করা হবে।

এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। প্রথম ধাপে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে এই কেন্দ্র থেকে।