দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রতিবন্ধীতার শিকার। যা মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমাজ কিংবা পরিবারের কাছে তারা বোঝা। যদিও বিশেষ চাহিদ সম্পন্ন এই সব মানুষের শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা নিশ্চিত করতে পারলে তারাও হতে পারে পরিবার ও দেশের সম্পদ। এজন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।

জন্ম থেকেই দুই পায়ে জোর নেই শান্তার। শারীরিক হাজারো প্রতিবন্ধকতা নিয়েই এক পা দু পা করে ডিঙ্গোচ্ছেন জীবনের সিঁড়ি। পেরিয়ে এসেছেন অনেকটা পথ। যেতে চান আরো বহুদূর।

চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন শান্তার মত দেশে এমন প্রায় ২ কোটি মানুষ রয়েছেন। যারা শারীরিক, মানসিক, দৃষ্টি, শ্রবণ কিংবা বুদ্ধিগত প্রতিবন্ধকতার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাজ কিংবা পরিবারের কাছে বোঝা। অথচ শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে তারাই দক্ষ মানব সম্পদ হতে পারে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশনের ২৭ নং অনুচ্ছেদে তাদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। দিতে হবে উপযুক্ত কর্ম পরিবেশও। কিন্তু এ নিয়ে কতটুকু সচেতনতা আছে? ডিআরআরএ ডিরেক্টর ফরিদা ইয়াসমিন বলেন প্রতিবন্ধী পরিবারের অধিকাওে বিষয়টা একেবারেই বাবা মা কেন্দ্রীক। রাষ্ট্র উদযাপনের মত করে প্রতিবন্ধী অধিকার করে। প্রতিবন্ধী ব্যত্তিদেও সাথে নিয়ে এদের সংস্কারে প্রয়োজন মর্যাদার জায়গা থেকে সমঅধিকারের জায়গা থেকে।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সক্রিয়তা কম। অনেক অভিভাবক চক্ষুলজ্জার ভয়ে সন্তানকে প্রকাশ্যে না এনে ঠেলে দিচ্ছেন অনিশ্চিত জীবনের দিকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজের সুযোগ দিলে প্রতিবন্ধী মানুষেরা বোঝা নয় বরং হয়ে উঠবেন দেশের সম্পদ।