ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে সাজা পেয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ অনুরোধে তাদের সাজা স্থগিত করে দেশটির সরকার। এরপর থেকেই তাদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে তিন দফায় ৩১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন। অবশিষ্ট ২৬ জন আজ ফিরেছেন দেশে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তাদের বহনকারী ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট আরব আমিরাত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

২৬ জন বাংলাদেশি প্রবাসীর দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. শরিফুল ইসলাম।

এ নিয়ে দুই দফায় আমিরাত থেকে ৪০ জন দেশে ফিরলেন। বাকি রইলেন ১৭ জন। প্রথম ধাপে ১৪ বাংলাদেশি গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে গত ২০ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বিচারের পর এই প্রবাসীদের মধ্যে কারো ১০ বছর, কারো ১১ বছর, এমনকি কারো কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা সুবিধাও বন্ধ করে দেশটি।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা  ড. ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষমা করে দেন।