বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসলেও দেশে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন এগারো লাখ বলে জানিয়েছেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।  রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়ে হাফিজ কমপ্লেক্সে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইলচেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক’দিন পরে পরে আমাদের দেশে আসে। সত্তর দশকে আসছে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে আসছে। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার তাদের নিয়েও গেছে, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে। এবারে সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে এগারো লক্ষ। তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কখনোই বলে নাই, এদেরকে নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও।

তিনি বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কখনোই বলে নাই, এদের নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলেছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যাতে স্বেচ্ছায় যেতে চায়, যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করো; বলছে, করব। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু এখন পর্যন্ত, পাঁচ বছর পার হয়েছে, একটাও লোক নেয় নাই। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায় নাই। ওদের (মিয়ানমার) আন্তরিকতার অভাব। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক…আমরা এমনকি কোর্টেও গেছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোরও দায়িত্ব আছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। সব যদি না-ও যেতে পারে, কিছু লোককে তারা অন্য দেশেও পাঠাতে পারে। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসতিপূর্ণ, প্রতি বর্গমাইলে প্রায় ২৯০০ লোক থাকেন; আর আমেরিকায় মাত্র ৪০, ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন থাকেন। ওদের দেশটা অনেক বড়। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, সব মানুষের অধিকার আছে বাঁচার। তাই আমরা ওনাদের বলেছি, আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান। কিছু লোক নেয়া শুরু হয়েছে। তবে এগুলো সমুদ্রের মধ্যে বিন্দুর মতো।’